অটোক্যাডে টেবিল টুলের ব্যবহার

অটোক্যাড সফটওয়্যারটি অটোডেস্ক কোম্পানি দ্বারা ডেভেলপড করা একটি ক্যাড সফটওয়্যার যা ডিজাইনিং ও ড্রাফটিং এর কাজে ব্যবহার হয়। ডিজাইন ও ড্রাফটিং স্পষ্ট ও কার্যকারী করে তোলার জন্য ডিজাইন সম্পর্কিত ডাটা ও এনোটেশনের কোন বিকল্প নেই। আর ডাটা, এনোটেশন ও সিম্বল সুসংগঠিত ভাবে উপস্থাপনের জন্য টেবিল অটোক্যাডে একটি অত্যাবশ্যকীয় টুল। তাই এই ব্লগে আমরা টেবিল টুল নিয়ে আলোচনা করছি। 

টেবিল তৈরির ধাপ সমুহঃ 

১। টেবিল তৈরি শুরু করতে আমাদের রিবন থেকে টেবিল টুলটি সিলেক্ট করে অথবা কমান্ড লাইন থেকে ‘Table’ লিখে এন্টার প্রেস করলেই আমরা টেবিল তৈরির উইন্ড দেখতে পাবো। সেখানে টেবিলের সারি এবং কলাম নির্ধারণ করে টেবিল তৈরি করতে পারব। 

২। টেবিল তৈরি হয়ে গেলে টেবিলের প্রতিটি সেলে আমরা ডাটা ইনপুট করতে পারি। সেখানে টেক্সট, ব্লক এমনকি ইমেজও ইন্সার্ট করা যায়। তাই সেল গুলোতে প্রয়োজন মত ডাটা বসিয়ে দিতে হবে। 

৩। টেবিল সিলেক্ট থাকা অবস্থায় ফরমেট নামে একটি ট্যাব রিবন বারে দেখা যাবে। সেখানে টেবিলের সেল, কলাম বা রো এডিট করার সব অপশন আছে। তাই সেখান থেকে রো, কলাম বা সেল ইন্সার্ট, ডিলিট বা মার্জ করতে পারব। এছাড়া স্টাইল, কালার অন্যান্য ফরমেটগুলো এডিট করা যাবে। 

৪। অটোক্যাডের টেবিল থেকে এক্সেল শিটের ফরমুলা ও ক্যালকুলেশন ব্যবহার করার সুযোগ থাকায় প্রোজেক্টের জন্য প্রয়োজনীয় ক্যালকুলেশন টেবিল থেকে করা সম্ভব। তাই টেবিলের প্রতিটি সেল আমরা এক্সেল ফাইল অনুযায়ী ফরমেট করে ডাটা ইনপুট করার চেষ্টা করব। 

টেবিল টুলের সুবিধা সমূহঃ 

১। এই টুল ব্যবহার করে নির্ভুল ও সহজ ভাবে ডাটা উপস্থাপন করা যায়। ডাটা গুলো সুসংগঠিত থাকে। 

২। সময় সাশ্রয় করে কাজের গতি বাড়ায়। 

৩। ডাটা ও এনোটেশনের উপস্থাপন উন্নত করে ফলে ডিজাইনারের কাজে পেশাদারিত্ব প্রকাশ পায়। 

পরিশেষে টেবিল টুলটি শুধু অটোক্যাডের একটি বহুল ব্যবহৃত টুল না। এটি ডাটা এন্ট্রি, ক্যালকুলেশন ও ডাটা লিঙ্কিং এর মত কাজের সাথে সম্পৃক্ত। তাই টেবিল টুল যে শুধু ডাটা রিপ্রেজেন্ট করার কাজে ব্যবহার হয় তা না এটি প্রজেক্টের অন্যান্য গ্রুপ মেম্বারদের সাথে কোলাবরেট করার জন্য একটি কার্যকরী টুলস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *