অটোক্যাড এনোটেশন টুলস

এনোটেশন টুলস গুলো অটোক্যাডের বহুল ব্যবহৃত টুলস যা ডিজাইনিং বা ড্রইং স্পষ্ট ও নির্ভুল করার জন্য ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ড্রইং এর বিভিন্ন অংশের স্পেসিফিকেশন, এক্সপ্লানেশন যুক্ত না করলে ড্রইং সংশ্লিষ্ট সবার জন্য বোধগম্য হয়ে উঠে না। তাই ড্রইং এর প্রতিটি অংশ স্পষ্ট করে তুলতে এনোটেশন টুলস গুলোর কোন বিকল্প নেই। যেই টুলস গুলোর মাধ্যমে আমরা আমাদের ডিজাইনে বিভিন্ন টেক্সট, ডাইমেনশন, টিকা, টেবিল যুক্ত করে ডিজাইনটিকে একটি পরিপূর্ণতা দিতে পারি। 

এই ব্লগে আমরা এনোটেশন টুলস গুলোর মধ্যে কিছু কমোন টুলস নিয়ে আলোচনা করব। 

১। টেক্সটঃ এই টুলটি অটোক্যাড ড্রইং এ কিছু নোট, লেভেল বা প্রয়োজনীয় ইনফরমেশন যুক্ত করতে ব্যবহার করা হয়। অটোক্যাডে টেক্সটের জন্য সিঙ্গেল লাইন টেক্সট ও মাল্টি টেক্সট নামে  দুইটি অপশন আছে। সিঙ্গেল লাইন টেক্সট কোন শিরোনাম বা টাইটেল যুক্ত কুরার ক্ষেত্রে বেশি উপযোগী। অন্যদিকে মাল্টি টেক্সট টুলসটি বর্ণনামূলক লেখনীর জন্য উপযুক্ত এতে ব্যবহারকারীরা বুলেট পয়েন্ট ও বিভিন্ন স্টাইল যুক্ত করতে পারে। 

২। ডাইমেনশন টুলসঃ ড্রইং এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ডাইমেনশনিং বা মাত্রা সংযুক্তকরণ। কারণ কোন ড্রইং এর প্রতিটি অংশের পরিমাপ না যদি নকশায় উল্লেখ না থাকে তাহলে নকশা দেখে নকশার বিষয়বস্তু সম্পর্কে তেমন কোন ধারণাই পাওয়া যায় না। তাই আটোক্যাড ডাইমেনশনিং করার জন্য আমাদের কতগুলো টুলস অফার করে যেমনঃ লিনিয়ার ডাইমেনশন, এলাইন (হেলানো তল) ডাইমেনশন, কৌণিক ডাইমেনশন ইত্যাদি। ডাইমেনশন যুক্ত করার মাধ্যমে নকশা নির্ভুল করা সম্ভব এবং ড্রইং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে নকশার ব্যাপারে ভাল ধারণা নিতে পারে। 

৩। টেবিলঃ টেবিল যে কিছু সুনির্দিষ্ট ডাটা সুসংগঠিত ভাবে উপস্থাপনের জন্য ব্যবহার হয় তা আমরা সবাই জানি। একটি ড্রইং এ এমন অনেক ডাটা থাকে যেগুলো টেবিলে অরগানাইজ করে উপস্থাপন করতে হয়। যেমন এমন ডিজাইন খুঁজে পাওয়া সহজ নয় যেখানে একাধিক সাইন বা সিম্বল নেই। প্রতিটি সিম্বল কি নির্দেশ করছে তা যদি একটি টেবিলের মাধ্যমে উল্লেখ্য করে দেয়া থাকে তাহলে নকশায় একটি পূর্ণতা তৈরি হয়। তাই অটোক্যাড শুধু টেবিল টুলই অফার করে না ব্যবহারকারীরা চাইলে অটোক্যাড টেবিলে এক্সেল ফরমুলা গুলো ব্যবহার করতে পারে। যার ফলে ব্যবহারকারী বিভিন্ন ক্যাকুলেশনে অতিরিক্ত সুবিধা পেয়ে থাকে। 

৪। এনোটেটিভ ব্লকঃ অটোক্যাডে একটি ব্লকও এনোটেশন হিসেবে ব্যবহার করা যায়। যেখানে ব্লকের প্রোপার্টি গুলো এনোটেশন প্রোপার্টির মত কাজ করবে। যেমন এনোটেটিভ ব্লকগুলো আমরা অবজেক্ট স্কেলিং ব্যবহার করে স্কেল করতে পারব না আমাদের অবশ্যই এনোটেশন স্কেল ব্যবহার করতে হবে। 

এনোটেশনের সুবিধাঃ 

১। একটি ড্রইং স্পষ্ট ও নির্ভুল করে তুলে। 

২। সময় সাশ্রয় করে। 

৩। ফ্লাক্সিবিলিটি বাড়েঃ রিপিটিভ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একই এলিমেন্ট বার বার ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না এবং একই ধরনের অবজেক্ট গুলো সংশোধনের প্রয়োজন হলে সব গুলো একসাথে সংশোধন করা যায়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *