অটোক্যাডে ড্রইং এর পদ্ধতি

অটোক্যাডে ড্রইং করতে হলে অটোক্যাড দ্বারা প্রণীত কিছু বিশেষ ট্রিকস ব্যবহার করে কাজ করতে হয়। সেই ট্রিকস সম্বলিত টুলস গুলো অটোক্যাডের স্ট্যাটাস বারে দেখতে পাবেন। এছাড়া ড্রইং সবার কাছে সহজবোধ্য করতে এক্সট্রা কিছু ফ্যাসিলিটি ব্যবহার করতে হয়। নিম্নে স্ট্যাটাস বারে অবস্থিত টুলস ও অন্যান্য এক্সট্রা ফ্যাসিলিটি নিয়ে আলোচনা করা হলঃ 

 

স্ট্যাটাস বার:

এটি ওয়ার্কস্পেসের একদম নিচে অবস্থিত যেখানে ড্রইং এর চলমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা যায় এবং  যেখানে প্রয়োজন অনুযায়ী ও কাজের সুবিধার্থে কিছু ফাংশন পরিবর্তন করতে পারে। এই বারে থাকা কতগুলো এলিমেন্ট হচ্ছে। কো-অর্ডিনেট ডিসপ্লে, অর্থমুড, গ্রিডমুড, স্ন্যাপমুড, ন্যাভিগেশন বার ইত্যাদি। 

 

কো-অর্ডিনেট ডিসপ্লে: এটি কার্সরের অবস্থান কথায় আছে তা X, Y, Z অক্ষের মাধ্যমে প্রদর্শন করে। 

 

গ্রিড ও স্ন্যাপ মুড:  গ্রিডমুড চালু ও বন্ধ করার মাধ্যমে আমরা ড্রয়িং স্পেসে লেখচিত্র বা গ্রাফ যুক্ত করতে পারি। অন্যদিকে স্ন্যাপমুড চালু থাকলে ড্রয়িং স্পেসে নির্দিষ্ট দূরত্বে এমন কিছু পয়েন্ট যুক্ত হয় যে গুলো ড্রয়িং এর সময় ট্র্যাক করতে সাহায্য করে। প্রয়োজন অনুসারে এই অপশন গুলো ব্যবহার করলে কাজ করতে সুবিধা হয়। 

অর্থমুড: এটি চালু থাকলে কার্সর হরিযন্টাল বা ভার্টিকাল ডিরেকশন ছাড়া অন্য কোন দিকে মুভ করতে পারে না। এই মুডটি বন্ধ করে কার্সর আবার যেকোনো দিকে মুভ করানো যায়। 

ন্যাভিগেশন সিস্টেম: অটোক্যাডে ন্যাভিগেশন বলতে বুঝায় সফটওয়্যার এর ওয়ার্কিং এরিয়াতে প্রয়োজন অনুসারে ড্রইং এর কাঙ্ক্ষিত অংশগুলো বা পুরো ওয়ার্কস্পেস ঘুরে পর্যবেক্ষণ করার পদ্ধতি। এই কাজটি অটোক্যাডে ন্যাভিগেশন বারের মাধ্যমে করা হয়। যেখানে যুম ইন/আউট, যুম উইন্ড, যুম অল, প্যান, অরবিট ইত্যাদি টুলস গুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। 

 

  • যুম ইন/আউট এর মাধ্যমে আমরা ওয়ার্কস্পেসে বিবর্ধন স্তর পরিবর্তন করতে পারি। 
  • যুম অল অপশনটি মাধ্যমে আমরা স্ক্রিনে ড্রইং এর সম্পূর্ণ অংশ দৃশ্যমান করতে পারি। 
  • যুম উইন্ডর মাধ্যমে আমরা একটি আয়তাকার অংশ নির্ধারণ করে নির্ধারিত অংশ পুরো স্ক্রিনে দেখতে পারি।
  • দৃশ্যপট কার্সর দিয়ে ডান, বাম বা উপরে নিচে ড্রইং এরিয়া সহ মুভ করার জন্য প্যান ব্যবহার করা হয়। 
  • অরবিট এর মাধ্যমে আমরা ওয়ার্কস্পেস টি তিমাত্রিক দিকে X, Y Z অক্ষ বরাবর আবর্তন বা রোটেট করাতে পারি।  

এক্সট্রা ফ্যাসিলিটি সমূহঃ 

ড্রইং তখন সবাই বুঝতে পারে বা সবার কাছে বোধগম্য যখন ড্রইং এর প্রতিটি অংশে বিস্তারিত ভাবে স্পেসিফাই করা থাকে। আর এই স্পেসিফিকেশনের জন্য যে টুলস গুলো ব্যবহার করা হয় তা হলো ডাইমেনশনিং, এনোটেশন ইত্যাদি। এরকম আরো কিছু টুলের ব্যবহার উল্লেখ কর হল। 

ডাইমেনশনিং: এই টুলটির মাধ্যমে আমরা ড্রয়িং এর বিভিন্ন অংশের রৈখিক, কৌণিক, ব্যাস, ব্যাসার্ধ এবং অন্যান্য মাত্রা নির্ণয় এবং নকশায় উল্লেখ করতে পারি। 

এনোটেশন: নকশায় বিভিন্ন টেক্সট, সিম্বল এবং টিকা ব্যবহার করার জন্য এই টুল বারটি ব্যবহার করা হয়। টিকায় ব্যবহার করা টেক্সট, সিম্বল এর স্টাইল প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবর্তন করা যায়। 

ফাইল ফরমেট: অটোক্যাডে আমরা সফটওয়্যার এর DWG নেটিভ ফরমেট ফাইল এর পাশা পাশি PDF, DXF (ড্রয়িং এক্সচেঞ্জ ফরম্যাট) ইত্যাদি ফরমেটে সেভ করতে পারি। অর্থাৎ এটি বিভিন্ন ফাইল ফরমেট সমর্থন করে। 

 

ইন্টিগ্রেশন: অটোক্যাড অন্যান্য অটোডেস্ক সফটওয়্যার বা থার্ড পার্টি সফটওয়্যার এর সাথে একীভূত করে আমরা আমাদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারি। অটোডেস্ক বি এই এম (বিল্ডিং ইনফরমেশন মডেলিং), রেভিট এবং অন্যান্য ক্যাড/ক্যাম সফটওয়্যার এই ইন্টিগ্রেশনের আওতায় রয়েছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *