ফটো ইলেকট্রিক সেন্সর সাধারণত কোন অবজেক্টের উপস্থিতি এবং অনুপস্থিতি ইনফ্রারেড লাইনের মাধ্যমে নিশ্চিত করে। তাছাড়াও ফটোসেন্সর অবজেক্টের সার্ফেসের পরিবর্তিত অবস্থা, অবজেক্টের দূরত্ব বিভিন্ন রকম অপটিক্যাল প্রোপার্টির মাধ্যমে নির্ণয় করতে পারে।
ব্যবহারঃ
- প্রোডাকশন লাইনে কনভেয়ারে অবজেক্ট চেক করতে পারে প্রোডাক্টে কোন দাগ বা এরর আছে কিনা।
- রবোটিক আর্মের মোভমেন্ট ডিটেক্ট করে।
- ছোট অবজেক্ট গণনা করতে পারে।
- কালার ডিটেক্ট করতে পারে।
- রিফ্লেক্টেড লেজার বীমের মাধ্যমে অবজেক্টের দূরত্ব সঠিকভাবে মাপতে পারে।
সুবিধাঃ
- অবজেক্ট কন্টাক্টের দরকার হয়না।
- লম্বা দূরত্বে অবজেক্ট ডিটেক্ট করতে পারে।
- দীর্ঘস্থায়ী।
- ফাস্ট রেসপন্স টাইম।
- যেকোনো অবজেক্ট/মেটারিয়াল ডিটেক্ট করতে পারে।
ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাপ্লিকেশনে ফটোসেন্সর ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশনের ক্ষেত্রে ফটোইলেকট্রিক সেন্সর ছাড়া আসলে অন্ধের ন্যায়।
ইন্টার্নাল ডিজাইনঃ
ফটোসেন্সরের ৬টি ইউনিট থাকে;
১। লাইট এমিটারঃ
বর্তমানে সেমিকন্ডাক্টর এলইডির মাধ্যমে ফটোইলেকট্রিক সেন্সর অপারেট হয়। ইমিটার লাইট পালস পাঠায়। কিন্তু এখানে একটু জটিলতা আছে, সেখানে সানলাইট অথবা রুম লাইটও থাকতে পারে। তাহলে রিসিভার কিভাবে বুঝবে যে ইমিটার থেকেই লাইট এসেছে? সেক্ষেত্রে স্পেশাল পালস এলগরিদম ব্যবহার করা হয় যার মাধ্যমে বাইরের লাইট সোর্স ও সেন্সরের লাইটের পার্থক্য নিরূপণ করে। এদের মধ্যে কমন টাইপ এলইডি হচ্ছে লাল এলইডি, ইনফ্রারেড এলইডি বা লেজার ডায়োড। সাদা, সবুজ এবং হলুদ এলইডিও ব্যবহার করা হয়।
২। লাইট রিসিভারঃ
রিসিভার সাধারণত হচ্ছে ফটো-ট্রানজিস্টর। এটি লাইট ডিটেক্ট করে একে ছোট ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যানালগ সিগন্যালে রূপান্তরিত করতে পারে। তবে বর্তমানে ফটোসেন্সর হাই ইন্টিগ্রেটেড ASIC (Application Specific Integrated Circuit) ব্যবহার করে যেখানে ফটো এলিমেন্ট, অ্যামপ্লিফায়ার, প্রসেসিং এবং কিছু সেন্সর ফাংশন ইন্টেগ্রেটেড থাকে একটি সিঙ্গেল সেমিকন্ডাক্টর আইসির মধ্যে। রিসিভার সরাসরি ইমিটার থেকে বীম সেন্সরের মাধ্যমে লাইট ডিটেক্ট করতে পারে অথবা অবজেক্ট থেকে রিফ্লেক্টেড লাইট বিকিরণের মাধ্যমে।
৩। আউটপুটঃ
আউটপুট সার্কিট ফটো-ট্রানজিস্টর/ASIC এর অ্যানালগ সিগন্যালকে অ্যামপ্লিফাইড অন/অফ সিগন্যালে রূপান্তরিত করে। রিসিভারে লাইট একটা থ্রেশহোল্ড লেভেলে পৌঁছালে সেন্সর আউটপুট সিগন্যাল ট্রিগার করে। তাছাড়াও পুরাতন ডিজাইনের কিছু ফটোসেন্সর পাওয়া যায় যেখানে বিল্ট-ইন পাওয়ার সাপ্লাই এবং রিলে আউটপুট থাকে যা এখনও পপুলার। তবে আধুনিক ফটোসেন্সরে ট্রানজিস্টর আউটপুট(PNP/NPN) ব্যবহার করা হয়। কিছু কিছু ফটোইলেকট্রিক সেন্সর অ্যানালগ আউটপুট দেয় যা মেজারমেন্ট করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
৪। এডজাস্টারঃ
ইউজার থ্রেশহোল্ড লেভেল সেটআপ করতে পারে; অর্থাৎ কি পরিমাণ লাইট পেলে আউটপুটকে ট্রিগার করবে তা সেট করে দেওয়া যায়। থ্রেশহোল্ডের সমান বা বেশি লাইট পেলেই আউটপুট জেনারেট করে। বাস্তবে সেন্সিং দূরত্ব বাড়ানো কমানোর মাধ্যমে থ্রেশহোল্ড লেভেল সেট করে দেয়া হয়।
থ্রেশহোল্ড এডজাস্টমেন্ট কেন দরকার হয়?
থ্রেশহোল্ড এডজাস্টমেন্ট সেন্সরকে সেন্সিটিভ করে ছোট কোন অবজেক্ট বা ট্রান্সপারেন্ট কোন অবজেক্টকে ডিটেক্ট করার জন্য সেন্সরে নরমালি স্ক্রু পটেনশিওমিটার থাকে থ্রেশহোল্ড এডজাস্টমেন্টের জন্য।
৫। লাইট-অন ডার্ক-অন সুইচঃ
L-ON/D-ON সুইচ আউটপুট সিগন্যালকে রিভার্স করে।
ডার্ক-অন (D-ON):
সেন্সরের আউটপুট এনাবল হয় যখন রিসিভার কোন লাইট রিসিভ না করে।
লাইট-অন (L-ON):
সেন্সরের আউটপুট এনাবল হয় যখন রিসিভার অবজেক্ট থেকে লাইট রিসিভ করে।
৬। ইন্ডিকেটরঃ
সবুজ-স্ট্যাবিলিটি ইন্ডিকেটরঃ
সবুজ এলইডি নির্দেশ করে সেন্সর স্ট্যাবল কন্ডিশনে অপারেট করছে অর্থাৎ সেন্সর ক্লিয়ার অন/অফ সিগন্যাল রিসিভ করছে।
এই সবুজ এলইডি সেন্সর ইন্সটলেশন এবং এডজাস্টমেন্টের সময় খুব কাজে আসে।
অরেঞ্জ-রেড আউটপুট ইন্ডিকেটরঃ
অরেঞ্জ বা রেড এলইডি নির্দেশ করে আউটপুট সিগন্যাল আছে কি নাই।
অন্যভাবে বলা যায়, যখন অবজেক্ট সেন্স করবে তখন এই এলইডি জ্বলবে।