টেম্পারেচার সেন্সরঃ টাইপ, কিভাবে কাজ করে, অ্যাপ্লিকেশন

টেম্পারেচার সেন্সর তাপমাত্রার ডাটা ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালে রূপান্তরিত করে যেমন- ভোল্টেজ বা রেজিসটেন্সে এবং পরে তা টেম্পারেচার কন্ট্রোলারে পাঠায়।

টাইপঃ

১। থার্মিস্টর
২। ইনফ্রারেড টেম্পারেচার সেন্সর
৩। থার্মোকাপল
৪। প্লাটিনাম রেজিসটেন্স থার্মোকাপল (PT-100)

। থার্মিস্টর:

থার্মিস্টর এক ধরণের টেম্পারেচার সেন্সর যা সিরামিক মেটারিয়ালে তৈরি। টেম্পারেচার বাড়ার সাথে সাথে সেমিকন্ডাক্টরের ইলেক্ট্রিক্যাল রেজিসটেন্স কমতে থাকে।

ফীচারঃ
ইন্ডাস্ট্রিতে সচরাচর ব্যবহার হয়না কারণ এর টেম্পারেচার রেইঞ্জ অনেক কম।
যদিও এর একুরেচি অনেক বেশি।
থার্মোমিটারের জন্য এটি আইডিয়াল।

২। ইনফ্রারেড টেম্পারেচার সেন্সরঃ

ইনফ্রারেড টেম্পারেচার সেন্সর মেটারিয়াল গরম হলে এর রেডিয়েন্ট এনার্জি ডিটেক্ট করে। টেম্পারেচার বাড়ার সাথে সাথে রেডিয়েন্ট এনার্জির তারতম্যের উপর ভিত্তি করে তাপমাত্রা পরিমাপ করে।

ফিচারঃ
এটি কন্টাক্টলেস অর্থাৎ দূর থেকে তাপমাত্রা পরিমাপ করতে পারে।
ফুড ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয় যেখানে হাইজিনের জন্য সরাসরি সেন্সর প্রবেশ করানো যায়না।
ঘূর্ণন অংশে যেখানে সার্ফেসের সাথে কন্টাক্ট অসম্ভব।

৩। থার্মোকাপলঃ

থার্মোকাপল দুটি ভিন্ন মেটারিয়াল বন্ডেড করে একসাথে থাকে যাতে হিট দিলে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। টেম্পারেচার বাড়লে ভোল্টেজও বাড়তে থাকে। কি পরিমাণ ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে তা সেন্সরের মেটারিয়ালের উপর নির্ভর করে এটি কি দিয়ে তৈরি। এর কিছু টাইপ আছে যেমন-T,K,J ইত্যাদি। প্রত্যেক টাইপের টেম্পারেচার রেইঞ্জ আবার ভিন্ন। কন্ট্রোল সিস্টেমে কানেকশনের পূর্বে এক্সট্রা কেয়ার নিতে হবে জাংশনে। তার জন্য স্পেশাল লিড ওয়্যার ব্যবহার করা হয়।

কোল্ড জাংশন কম্পেনজেশনঃ

হট জাংশন বা মেজারিং জাংশন এবং কোল্ড জাংশন বা রেফারেন্স জাংশনের টেম্পারেচার ডিফারেন্সের কারণে উৎপন্ন ভোল্টেজও ভিন্ন রকম হয়। টেম্পারেচার কন্ট্রোলারে প্রেজেন্ট ভেলু কোল্ড জাংশনের তাপমাত্রার উপর ভিত্তি করে ডিসপ্লে করে, যদি হট জাংশনের তাপমাত্রা একই থাকেও। টেম্পারেচার কন্ট্রোলার টার্মিনাল এরিয়া যা হচ্ছে কোল্ড জাংশনের তাপমাত্রা এবং এটি এম্বিয়েন্ট তাপমাত্রার উপর নির্ভর করে ভেরি করে। এই কারণে কোল্ড জাংশনের তাপমাত্রা আরেকটি সেন্সরের মাধ্যমে ডিটেক্ট করা হয় এবং ইলেক্ট্রিক্যাল কম্পেনজেশন তৈরি করা হয় টেম্পারেচার কন্ট্রোলারে। কোল্ড জাংশনে কম্পেনজেশনের জন্য এমনভাবে ভোল্টেজ অ্যাপ্লাই করা হয় যাতে সবসময় ০ ডিগ্রী সে. মেইনটেইন করে।

৪। প্লাটিনাম রেজিসটেন্স থার্মোকাপল (PT-100):

একটি প্লাটিনাম ওয়্যার গ্লাস অথবা সিরামিক বারের মধ্যে পেঁচানো থাকে যা তাপমাত্রার পরিবর্তন পরিমাপ করতে পারে। প্লাটিনামের ইলেক্ট্রিক্যাল রেজিসটেন্স পরিবর্তন হয় টেম্পারেচার পরিবর্তনের সাথে সাথে। এই প্লাটিনাম রেজিসটেন্স থার্মোমিটারকে ‘রেজিস্টিভ টেম্পারেচার ডিভাইস (RTD)’ বা PT-100 ও বলে।

সুবিধাঃ
একুরেচি অনেক বেশি।
কোন স্পেশাল ওয়্যারের দরকার নাই।

অসুবিধাঃ
ব্যয়সাপেক্ষ।
প্লাটিনাম ফাইন ওয়্যার ভাইব্রেশন এবং শকে দুর্বল হয়ে যায়।

টেম্পারেচার সেন্সর সিলেকশনঃ

থার্মোকাপল-
থার্মোইলেক্ট্রোমোটিভ ফোর্স ব্যবহার করে তাপমাত্রা পরিমাপ করে
রেইঞ্জঃ -২০০~১৭০০ ডিগ্রী সে.
একুরেচি স্বাভাবিক
ভাইব্রেশন, শকে ক্ষতি হয়না
তুলনামূলক সস্থা

RTD-
রেজিসটেন্স পরিবর্তনের মাধ্যমে তাপমাত্রা পরিমাপ করে
রেইঞ্জঃ -২০০~৬৪০ ডিগ্রী সে.
একুরেচি হাই
ভাইব্রেশন, শকে প্লাটিনাম নষ্ট হয়ে যায়
ব্যয়সাপেক্ষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *