কমার্শিয়াল এসি সাপ্লাই সাধারণত সেন্সিটিভ ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস বা ফ্যাক্টরি ডিভাইসে সরাসরি ব্যবহার করা যায়না। পাওয়ার সাপ্লাই কমার্শিয়াল এসি ভোল্টেজকে লো ভোল্টেজ ডিসি পাওয়ারে রূপান্তরিত করে তা ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, ট্রানজিস্টর এবং অন্যান্য কম্পোনেন্টকে ড্রাইভ করে।
ফীচারঃ
- পাওয়ার সাপ্লাইয়ে ডিসি ভোল্টেজ প্রেজেন্ট আছে কিনা ইন্ডিকেটর লাইট তা নির্দেশ করে।
- এতে ডিসি পাওয়ার লো ইন্ডিকেটরও আছে। ডিসি পাওয়ার যখন খুব কম থাকে তখন এটি জ্বলে।
- যখন পাওয়ার সাপ্লাইয়ের আউটপুট টার্মিনালে লোড কানেক্ট করা হয় এবং ঐ লোড যদি পাওয়ার সাপ্লাই যা দিতে পারে তার চেয়ে বেশি সাপ্লাই ডিমান্ড করে তখন ইন্ডিকেটর দেয়। এক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী পাওয়ার সাপ্লাই দরকার হয়।
- এসি ইনপুট টার্মিনাল(L), (N)- এখানে এসি ইনপুট টার্মিনাল কানেক্ট করা হয়।
- প্রটেক্টিভ আর্থ টার্মিনাল(PE)- গ্রাউন্ড টার্মিনাল এতে কানেক্ট করা হয়।
- আউটপুট ইন্ডিকেটর(DC ON: Green)- যখন ডিসি আউটপুট অন হয়।
- আন্ডারভোল্টেজ ইন্ডিকেটর(DC LOW: Red)- যখন ভোল্টেজ ড্রপ হয় তা ডিটেক্ট করে।
- আউটপুট ভোল্টেজ এডজাস্টর(V, ADJ)- টিউনিং করে এর আউটপুট ভোল্টেজ এডজাস্ট করা যায়।
- ডিসি আউটপুট টার্মিনাল(-V)(+V)- ডিসি লোড এখানে কানেক্ট করতে হয়।
ওয়ার্কিংঃ
পাওয়ার সাপ্লাই ইলেক্ট্রনিক্স কম্পোনেন্ট দিয়ে প্রস্তুত করা হয় যা ইনকামিং কমার্শিয়াল ভোল্টেজকে প্রয়োজনীয় আউটপুট ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে লোড চালনার জন্য। এর ভেতরে পুরু কম্পোনেন্ট বুঝার পরিবর্তে এর কিছু স্টেজ আছে যা বুঝা সহজ।
এতে তিনটি স্টেজ আছে;
১। ট্রান্সফর্মেশন
২। রেক্টিফিকেশন
৩। আউটপুট কন্ডিশনিং
১। ট্রান্সফর্মেশন:
পাওয়ার সাপ্লাইয়ে বিল্ট-ইন ট্রান্সফর্মার থাকে। আমরা আগেই শিখেছি ট্রান্সফর্মারের প্রাইমারী সাইডে হাই ভোল্টেজ থাকে এবং সেকেন্ডারী সাইডে লো ভোল্টেজ পাওয়া যায়। এই ট্রান্সফর্মার ২২০ ভোল্ট এসি থেকে ২৪ ভোল্ট এসিতে রূপান্তরিত করে।
২। রেক্টিফিকেশন:
পাওয়ার সাপ্লাইয়ের ভেতরে রেক্টিফায়ার ইউনিট থাকে যা এসি ভোল্টেজকে ডিসি ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে। এটি ডায়োড ব্যবহার করে করা হয়। আমরা জানি ডায়োড কারেন্টকে একদিকে প্রবাহিত করে। ডায়োডের কিছু স্পেশাল বিন্যাসের মাধ্যমে এসি থেকে ডিসিতে রূপান্তরিত করা হয়।
৩। কন্ডিশনিং:
রেক্টিফাইড ভোল্টেজ ক্লিন নয়; এতে নয়েজ থাকে যা সেন্সিটিভ ইলেক্ট্রনিক্স পার্টে ব্যবহার করা যায়না। তখন ইলেক্ট্রনিক্স কম্পোনেন্ট ম্যালফাংশন করতে পারে। কন্ডিশনিং এর মাধ্যমে নয়েজ দূর করে স্মোথ আউটপুট তৈরি করা যায়।