ভুমিকাঃ
অটোডেস্ক দ্বারা বিকশিত সফটওয়্যার অটোক্যাড যা অগণিত সুবিধা প্রদান করে। যা সমস্ত ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে ড্রাফটিং এবং ডিজাইন প্রক্রিয়ায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। নানা সুবিধার কারণে সফটওয়্যারটি জপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। তাই এই সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার আগে অটোক্যাডের সুবিধা সম্পর্কে জেনে নিলে আমরা বুঝতে পারব কেন আমরা অটোক্যাড শিখছি এবং কেন এটি শিখা জরুরি। সুতরাং আজ আমাদের আলোচ্য বিষয় অটোক্যাডের ব্যবহারের সুবিধা সমূহ
নিম্নলিখিত ৭টি সুবিধা আলোচনা করা হল।
নির্ভুল ও ত্রুটিমুক্তঃ অটোক্যাড ডাইনামিক ইঞ্জিনিয়ারিং মডেল সমর্থন করে এবং সে নীতিতে কাজ করে। ডাইনামিক ইঞ্জিনিয়ারিং মডেল হচ্ছে এমন একটি মডেল যার মাধ্যমে ডিজাইন এবং প্রোডাকশন ড্রাফটিং একত্রে মিশ্রিত করে পুরো প্রজেক্টের যেকোনো সময় ডিজাইনের যেকোনো অংশে পরিবর্তন করার অনুমতি দেয়। অর্থাৎ এর মাধ্যমে ড্রইং বা প্রজেক্টের ভুল সংশোধন সহজ হয় এবং কাজ নির্ভুল ও নিখুঁত হয়।
সময় ও অর্থ সাশ্রয়ঃ অটোক্যাড ডকুমেন্টেশন টুলগুলিকে সমর্থন করে, যা ডিজাইনার ও আর্কিটেক্টদের ডকুমেন্টেশন করতে সহায়তা করে এবং প্রডাকশন বাড়ায়। অটোক্যাডে ডিজাইনের কোন অংশ সহজে মডিফাই করার সুযোগ থাকায় সময় ও খরচ দুটিই সাশ্রয় হয়।
ডাটা শেয়ারিং: ভারী ফাইলগুলোতে কাজ করা এবং সেই ফাইল গুলো ডাটা হারানো ব্যতীত ভাগ করে ব্যবহার করা কঠিন। কিন্তু অটোক্যাড অনলাইনে ডিজাইন ও ডাটা আপলোড সমর্থন করায় সহজে একই প্রজেক্টে কাজ করা সদস্যদের মাঝে প্রজেক্ট ফাইল শেয়ার করে কাজ অনেক সহজ করে তুলেছে।
এক্সপোর্ট ও ইমপোর্ট ফাইলঃ অটোক্যাড অন্যান্য ফাইল, টুলস ও ফিচার সমর্থন করায় অনেক জটিল প্রক্রিয়া সহজ হয়ে যায়। অটোক্যাড PDF সাপোর্ট, সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ারিং ও WS, DWG রুপান্তর সমর্থন করায় এবং অটোডেস্ক ৩৬০ এর সাথে সমন্বয় থাকায় অটোক্যাড আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ক্যালকুলাশনঃ ভর, ক্ষেত্রফল, আয়তন, মাধ্যাকর্ষণ কেন্দ্র খুব সহজে ক্যালকুলেট করার সুযোগ থাকায় এবং স্বয়ংক্রিয়-ডাইমেনশনিং বৈশিষ্ট্য থাকায় ব্যবহারকারীকে সঠিক স্কেচ ডিজাইন করতে সহায়তা করে।
কাস্টমাইজেশনঃ ব্যবহার কারি চাইলে প্রজেক্টের প্রয়োজনীয়তা এবং ওয়ার্কফ্লো অনুসারে ম্যাক্রো, স্ক্রিপ্ট এবং কাস্টম কমান্ডের সাহায্যে সফটওয়্যারটি কাস্টমাইজ করতে পারে।
ইন্টিগ্রেশনঃ অন্যান্য অটোডেস্ক সফটওয়্যার এবং তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশনগুলির সাথে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টিগ্রেশন ডিজাইন এবং প্রডাকশনের বিভিন্ন পর্যায়ে আন্তঃকার্যযোগ্যতা এবং কর্মপ্রবাহের ধারাবাহিকতা বাড়ায়।