টাইটেল ব্লক অটোক্যাডের একটি মৌলিক উপাদান যেখানে তৈরিকৃত ডিজাইন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য উল্লেখ থাকে। অর্থাৎ একটি ডিজাইন কমপ্লিট হয়ে গেলে সেই ঐ ডিজাইনটির সাথে একটি টাইটেল ব্লক অ্যাড করা হয়। যেখানে প্রোজেক্টের, নাম জমাদানকারী এবং অর্ডারকারী কোম্পানির নাম থেকে শুরু করে ডিজাইনারের নাম, স্কেলিং, ইউনিট ইত্যাদি তথ্য সংযুক্ত থাকে। তাই এই ব্লগে আমরা টাইটেল ব্লকে সংযুক্ত উপাদান, কীভাবে তৈরি করতে হয় এবং এটির গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করব।
টাইটেল ব্লকে সংযুক্ত উপাদানঃ
প্রয়োজন বেধে টাইটেল ব্লকের এলিমেন্ট গুলো পরিবর্তন হতে পারে তবে অতি খুব বেশি ব্যবহৃত কি এলিমেন্ট গুলো এখানে উল্লেখ্য করা হল।
১। প্রোজেক্ট টাইটেলঃ যেখানে পরিস্কার ভাবে প্রজেক্ট ও ড্রইং এর নাম উল্লেখ্য থাকে।
২। কোম্পানির তথ্যঃ যেখানে কোম্পানির নাম, অফিসের ঠিকানা, কন্টাক ইনফরমেশন ইত্যাদি থাকে।
৩। শিট নাম্বারঃ যদি প্রোজেক্টে একাধিক ড্রইং থাকে তবে প্রতিটি ড্রইং এ শিট নাম্বার বা ড্রইং নাম্বার সংযুক্ত করতে হয়।
৪। স্কেলঃ ড্রইং এর পরিমাপ স্পষ্ট ভাবে বুঝার জন্য স্কেল রেশিও অবশ্যই টাইটেল ব্লকে যুক্ত করতে হয়।
৫। তারিখঃ প্রায় সব টাইটেল ব্লকে তারিখ উল্লেখ থাকে।
৬। ডিজাইনার ও চেক কারীর নামঃ ড্রয়িংটি কারা ডিজাইন করেছে এবং কারা চেক করেছে তাদের নাম উল্লেখ থাকে টাইটেল ব্লকে।
৭। ড্রইং এ কোন সংশোধন করা হলে এই সেকশনে তা উল্লেখ থাকে।
টাইটেল ব্লক তৈরির ধাপ সমুহঃ
১। প্রথমে ব্লকের লেআউট ডিজাইন করতে হবে যার আকার A4, A3 ইত্যাদি হতে পারে।
২। টাইটেল ব্লকের জন্য আলাদা লেয়ার ব্যবহার করুন।
৩। তথ্য সংযুক্তির জন্য টেক্সট এবং এট্রিবিউট ব্যবহার করুন।
৪। ডিজাইন করা লেআউটটি ব্লকে কনভার্ট করুন।
৫। সব শেষে ব্লকটি সেভ করে রাখুন যেন পুনরায় এটি আবার ব্যবহার করা যায়।
টাইটেল ব্লকের গুরুত্তঃ
টাইটেল ব্লক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ গুলো হলঃ
১। এটি প্রোজেক্টের ডকুমেন্টেশন গোছানো এবং স্পষ্ট করে তলে। ফলে ড্রইং সংক্রান্ত কিছু অস্পষ্টতা ও জটিলতা দূর হয়।
২। পেশাদারিত্বঃ একটি ভাল মানের টাইটেল ব্লক ডিজাইনারের পেশাদারিত্ব প্রকাশ করে।
৩। টাইটেল ব্লকে থাকা অ্যাপ্রুভাল সিগনেচার এবং রিভিশন হিস্ট্রি একটি আইনি প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।
৪। দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য টাইটেল ব্লকের কাজ শিখা অতি জরুরি।