যখন আমরা এসি কারেন্ট ইন্ডাক্টিভ অথবা ক্যাপাসিটিভ লোডে দেই তখন পাওয়ার ফ্যাক্টর এঙ্গেল ঘটে। পাওয়ার ফ্যাক্টর সাধারণত পাওয়ারের ইফিশিয়েন্সি নির্দেশ করে। % আকারে পাওয়ার ফ্যাক্টর প্রকাশ করা হয়। লোয়ার % মানে পাওয়ারের ইফিশিয়েন্সি কম।
- পাওয়ার ফ্যাক্টর হচ্ছে ওয়ার্কিং পাওয়ার (KW) এবং অ্যাপারেন্ট পাওয়ারের (KVA) অনুপাত।
- অ্যাপারেন্ট পাওয়ারকে ডিমান্ডও বলে অর্থাৎ একটি মেশিন রান করতে নির্দিষ্ট পিরিয়ডে কি পরিমাণ পাওয়ার দরকার তার পরিমাপ। লাইন ভোল্টেজ এবং মেশিনের কারেন্ট রেটিং গুন করলে অ্যাপারেন্ট পাওয়ার KVA পাওয়া যায়।
পাওয়ার ফ্যাক্টর অ্যানালজিঃ
কোক একটি গ্লাসে ঢেলে আমরা পাওয়ার ফ্যাক্টর ভালভাবে বুঝতে পারি।
কোকঃ এখানে কোক হচ্ছে একটিভ পাওয়ার(KW) যা কার্যকরী পাওয়ার। এটি গ্লাসে লিকুইড অংশ, অর্থাৎ এটিই একমাত্র কার্যসম্পাদন করে যা পান করা যায়।
ফোমঃ ফোম হচ্ছে রিঅ্যাকটিভ পাওয়ার(KVAR), এটি নষ্ট হয়ে যাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া পাওয়ার। এটি উৎপন্ন এনার্জি যা কোন কাজে আসেনা অর্থাৎ পান করা যায়না। প্রোডাকশনে হিট এবং ভাইব্রেশনের সাথে তুলনা করতে পারি।
গ্লাসঃ গ্লাস এখানে অ্যাপারেন্ট পাওয়ার (KVA)। এটি ডিমান্ড পাওয়ার বা সেই পরিমাণ পাওয়ার যা ইউটিলিটি ডেলিভারি দেয়।
- সার্কিট যদি ১০০% ইফিশিয়েন্ট হয় তবে ডিমান্ড এবং এভাইলেবল পাওয়ার সমান হয়। ডিমান্ড যদি এভাইলেবল পাওয়ারের তুলনায় বেশি হয়ে যায় তখন ইউটিলিটি সিস্টেমে টান লাগে।
- দুর্বল পাওয়ার ফ্যাক্টর মানে পাওয়ার ইন-ইফিশিয়েন্টভাবে ব্যবহার করা। এর কিছু খারাপ প্রভাব আছে।
→ হিট উৎপন্ন হয় যা ইনসুলেশন এবং সার্কিট কম্পোনেন্ট নষ্ট করে দিতে পারে।
→ এভাইলেবল কার্যকরী পাওয়ার কমিয়ে দেয়।
→ কন্ডাক্টর এবং ইকুইপমেন্টের সাইজ বাড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন পরতে পারে।
রেজিস্টিভ লোডের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর=১ ।
ইন্ডাক্টিভ লোডের ক্ষেত্রে পাওয়ার ফ্যাক্টর=০ হয় যখন পজিটিভ এবং নেগেটিভ ভেলু একই প্রোপর্শনে থাকে।
উপরের ওয়েভফর্ম রেজিস্টিভ এবং ইন্ডাক্টিভ লোডের জন্য ৬০ ডিগ্রী ফেজ শিফট নির্দেশ করে।
হাই পাওয়ার ফ্যাক্টর বেশি পাওয়ার জেনারেট করে যখন ভোল্টেজ এবং কারেন্ট একই ফেজে থাকে।
সবশেষে বলা যায়, পাওয়ার ফ্যাক্টর অভারল পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের খরচ বাড়িয়ে দেয়। কারণ লোয়ার পাওয়ার ফ্যাক্টরের কারণে লোড বেশি কারেন্ট নেয়।