ম্যাগনেটিক ফিল্ড কি? ইলেক্ট্রিসিটির সাথে এর সম্পর্ক কি?

ম্যাগনেটিক ফিল্ড

১৮৩১ সালে মাইকেল ফ্যারাডে ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন এক্সপেরিমেন্ট করে দেখান।

ম্যাগনেট দুই রকম; পার্মানেন্ট এবং টেম্পরারী। তবে উভয়ই ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে।

  • দুটি ম্যাগনেট কাছাকাছি নিয়ে আসলে এর মধ্যবর্তী স্থানে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ হয়। এদের মধ্যবর্তী স্থানে ফিল্ড তৈরি হয়।
  • যখন কোন ওয়্যারের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত করা হয় তখন ওয়্যারের চারপাশে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে, কারেন্ট ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে।

কারেন্ট আসলে কি?

কারেন্ট হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ে কি পরিমাণ চার্জ প্রবাহিত হয়। তাহলে বলা যায়, মোভিং চার্জ ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে।

ইলেক্ট্রিসিটি এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ডঃ

চার্জ যখন ম্যাগনেটিক ফিল্ডে মোভ করে তখন এর গতির সাথে লম্বভাবে ফোর্স অনুভব করে। এটি ডানহাত নিয়ম মেনে চলে।

  • আমরা যদি কোন ওয়্যার চিত্রের মতো হাতে মুঠো করে ধরি তাহলে, বুড়ো আঙ্গুল কারেন্টের(I) ডিরেকশন নির্দেশ করে এবং অন্য আঙ্গুলগুলো ম্যাগনেটিক ফিল্ডের(B) ডিরেকশন বুঝায়।

  • কয়েলের পেঁচসংখ্যা বৃদ্ধি করে ম্যাগনেটিক ফিল্ডের শক্তি বাড়ানো যায়।

সলিনয়েড এবং ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রিলে এই প্রিন্সিপাল মেনে চলে। যখন কয়েলে ইলেক্ট্রিসিটি প্রবাহিত হয় তখন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয় যা মেটালিক পার্টকে আকৃষ্ট করে এবং কন্টাক্ট চেইঞ্জ হয়।

ইলেক্ট্রিসিটি কিভাবে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে?

ইলেক্ট্রিসিটি এবং ম্যাগনেটিক ফিল্ড ঘনিষ্ঠভাবে রিলেটেড। ইলেক্ট্রিসিটি এবং ম্যাগনেটিজম চার্জ পার্টিকেলের আকর্ষণ এবং বিকর্ষণের সাথে জড়িত। চার্জের এই আকর্ষণ ও বিকর্ষণের ফলে ফোর্স তৈরি হয়। ইলেক্ট্রিসিটি ও ম্যাগনেটিজমের এই মিথস্ক্রিয়াকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম বলে।

  • ম্যাগনেটের মোভমেন্টের ফলে ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেট হয়। ইলেক্ট্রিসিটি প্রবাহের ফলে আবার ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়।
  • কোন ওয়্যারকে যদি আমি ম্যাগনেটিক ফিল্ডের মধ্য দিয়ে পাস করি তাহলে ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেট হয়। যখন ওয়্যারের কয়েল ব্যবহার করা হয় তখন পাওয়ারফুল ম্যাগনেট তৈরি হয়।
  • এই কয়েলের ভেতর দিয়ে যদি কোন ম্যাগনেট পাস করা হয় তখন ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেট হয়। জেনারেটর এই প্রিন্সিপালে চলে।

ট্রান্সফর্মারঃ

ট্রান্সফর্মার ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিজম প্রিন্সিপাল মেনে চলে। আমরা মোটামোটি সবাই জানি ট্রান্সফর্মার একটি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যাপারেটাস যা এসি এক ভোল্টেজ লেভেল থেকে অন্য ভোল্টেজ লেভেলে কনভার্ট করে। এটি স্টেপ আপ এবং স্টেপ ডাউন উভয়ই হতে পারে। এটি স্ট্যাটিক ডিভাইস, এর কোন মোভিং পার্ট নাই। এটি ভোল্টেজকে আপার বা লোয়ার ভোল্টেজে কনভার্ট করলেও টোটাল পাওয়ারের কোন হেরফের হয়না, অর্থাৎ ইনপুট পাওয়ার ও আউটপুট পাওয়ার সমান থাকে।

  • যখন প্রাইমারী সাইডে এসি পাওয়ার দেওয়া হয় তখন ফ্লাকচুয়েটিং ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়।
  • এই ম্যাগনেটিক ফিল্ড কোরের মাধ্যমে সেকেন্ডারি সাইডে ট্রান্সফার হয়।
  • সেকেন্ডারি সাইডে কত ভোল্টেজ পাওয়া যাবে তা কয়েলের পেঁচসংখার অনুপাতের উপর নির্ভর করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *