ইলেক্ট্রিক্যাল লোড কত প্রকার ও কি কি?

সাধারণ ভাষায় ইলেক্ট্রিক্যাল লোড হচ্ছে কোন কম্পোনেন্ট বা ডিভাইস যা সাধারণত ইলেক্ট্রিক্যাল এনার্জি শোষণ করে কারেন্ট আকারে। আমাদের আশেপাশে এমন যাকিছু দেখি যেগুলো ইলেক্ট্রিসিটি ব্যবহার করে সবগুলোই লোড।

লোড হচ্ছে ইলেক্ট্রিক্যাল এনার্জির কনভার্সন যা সাধারণত ইলেক্ট্রিক্যাল এনার্জিকে ম্যাগনেটিক, মেকানিক্যাল ফোর্স, থার্মাল এবং অপটিক্যাল এনার্জিতে রূপান্তরিত করে।

লোড তিন রকম;

১। রেজিস্টিভ- ভোল্টেজ এবং কারেন্ট ওয়েভফর্ম ইন ফেজে থাকে।

২। ইন্ডাক্টিভ- ভোল্টেজ লিডিং কারেন্ট

৩। ক্যাপাসিটিভ- কারেন্ট লিডিং ভোল্টেজ

  • ফেজ শিফট এঙ্গেল দ্বারা রিপ্রেজেন্ট করা হয় যেখানে ফুল সাইকেল হচ্ছে ৩৬০ ডিগ্রী।
  • ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যবর্তী এঙ্গেল হচ্ছে পাওয়ার ফ্যাক্টর। একে ফেজ এঙ্গেল বা পাওয়ার ফ্যাক্টর এঙ্গেলও বলে।

সিম্বলঃ θ অথবা Φ ।

১। রেজিস্টিভ লোডঃ

 

সার্কিটে শুধুমাত্র রেজিস্টর থাকে। রেজিস্টরের এক্রসে ভোল্টেজ এবং কারেন্ট প্রবাহ একে অন্যের সাথে একই ফেজে থাকে।

উদাহরণঃ ল্যাম্প, হিটার ইত্যাদি।

২। ইন্ডাক্টিভ লোডঃ

রেজিস্টরের পরিবর্তে এখানে ইন্ডাক্টর লাগানো হয়েছে।

  • ইন্ডাক্টরের এক্রসে ভোল্টেজ এবং এর মধ্যে প্রবাহিত কারেন্ট আর একই থাকেনা। ভোল্টেজ কারেন্টের সাথে লিডিং থাকে, অথবা বলা যায় কারেন্ট ভোল্টেজের সাথে ল্যাগিং থাকে।
  • ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন ধরণের যেসব এসি লোড আছে এগুলো হচ্ছে ইন্ডাক্টিভ। এখানে ভোল্টেজ কারেন্টের সাথে ৯০ ডিগ্রী লিডিং।

উদাহরণঃ মোটর, ট্রান্সফর্মার, যেসব প্রোডাক্টে কয়েল থাকে সেগুলো।

৩। ক্যাপাসিটিভ লোডঃ

ইন্ডাক্টরের পরিবর্তে ক্যাপাসিটর লাগানো হয়েছে। ক্যাপাসিটরের এক্রসে ভোল্টেজ এবং এর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহও একে অপরের সাথে একই নয়। এক্ষেত্রে কারেন্ট ভোল্টেজের সাথে লিডিং থাকে, অথবা বলতে পারি ভোল্টেজ কারেন্টের সাথে ল্যাগিং। এক্ষেত্রে ভোল্টেজ কারেন্টের সাথে ৯০ ডিগ্রী ল্যাগিং।

উদাহরণঃ ক্যাপাসিটর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *