অপ্টোকাপ্লার কি? কিভাবে কাজ করে?

অপ্টোকাপ্লার অপ্টো-আইসোলেটর, ফটোকাপ্লার বা অপটিক্যাল আইসোলেটর নামেও পরিচিত। অপ্টোকাপ্লার দুটি আলাদা ইলেক্ট্রিক্যালি আইসোলেটেড সার্কিটের মধ্যে ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যাল ট্রান্সফার করতে পারে লাইট এনার্জি ব্যবহার করে। অপ্টো-আইসোলেটর সার্কিটের এক পার্টে থাকা হাই ভোল্টেজের হাত থেকে অন্য সার্কিটকে রক্ষা করে। পিসিবি বা প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ডে আপনি যদি সেন্সিটিভ লো ভোল্টেজ কম্পোনেন্ট রক্ষা করতে চান সেক্ষেত্রে অপ্টোকাপ্লার হচ্ছে বেস্ট অপশন।

  • অপ্টোকাপ্লারের ভেতরে দুটি ডায়োড; লাইট ইমিটিং ইউনিট এবং লাইট রিসিভিং ইউনিট প্যাকেজড অবস্থায় থাকে। এটি এলইডি এবং ফটো-ট্রানজিস্টর নিয়ে গঠিত।
  • এলইডি ইলেক্ট্রিক্যাল ইনপুট সিগন্যালকে লাইটে রূপান্তরিত করে এবং ফটো ডায়োড বা ফটো-ট্রানজিস্টর ঐ ইনকামিং লাইট ডিটেক্ট করে। ফটো ট্রানজিস্টর একটি স্পেশাল টাইপ ট্রানজিস্টর যাতে লাইট রিসিভ হলে কালেক্টর টু ইমিটার কারেন্ট প্রবাহিত হয়।

উভয় ট্রান্সমিট এবং রিসিভ ইউনিট একটি ট্রাডিশনাল ব্ল্যাক বক্সে ইন্টিগ্রেটেড অবস্থায় থাকে যাতে কিছু পিন থাকে কানেকশনের জন্য।

এর মাঝখানে ইনসুলেটিং ফিল্ম দিয়ে ইনপুট এবং আউটপুটের মধ্যে আইসোলেশন করা হয়। ফটো-ট্রানজিস্টরের জাংশনে ইনপুট এলইডি ছাড়া যাতে অন্য কোন এক্সটার্নাল লাইট না পড়ে এমনভাবে তৈরি হয়।

ওয়ার্কিংঃ

  • অপ্টোকাপ্লারের ইনপুট সাইডে প্রথমে নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট দেওয়া হয় যাতে ইনফ্রারেড এলইডি লাইট ইমিট করে। যখন এই লাইট ফটোসেন্সিটিভ জাংশনে হিট করে তখন আউটপুট সাইডে ট্রানজিস্টর অন হয়। অর্থাৎ এলইডি অন অফ করার মাধ্যমে লাইট ফেলে ফটোট্রানজিস্টরকে অন এবং অফ করা যায়।
  • এই ডিভাইস একটি সুইচ হিসেবে কাজ করে দুটি আইসোলেটেড সার্কিটকে সংযোগ করার মাধ্যমে। এলইডি এবং ফটোট্রানজিস্টরের মাঝে ইন্সুলেটর থাকা সত্ত্বেও এই সুইচিং ঘটে যা শুধুমাত্র লাইটের মাধ্যমে।

  • পিএলসির I/O মোডিউলে অপ্টোকাপ্লার ব্যবহার করা হয়। প্রসেস সিস্টেম থেকে ইনপুট মোডিউলে সিগন্যাল যায় তখন কোন শর্ট সার্কিট হলে অপ্টোকাপ্লার পিএলসির সিপিইউকে রক্ষা করে।

সুবিধাঃ

যদি আপনি ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ডিজাইন করেন এবং এটি যদি ভোল্টেজ সার্জ, লাইটনিং স্পাইক, পাওয়ার সাপ্লাই স্পাইকের সাথে সংবেদনশীল হয় তবে আপনাকে অবশ্যই লো-ভোল্টেজ কম্পোনেন্টগুলো রক্ষা করার প্রয়োজন পরবে। অপ্টোকাপ্লার ব্যবহারের ফলে-

১। সিগন্যাল থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল নয়েজ দূর হয়।

২। লো-ভোল্টেজ ডিভাইসকে হাই-ভোল্টেজ ডিভাইস থেকে আইসোলেট করা যায়।

৩। ছোট ডিজিটাল সিগন্যালের মাধ্যমে বড় এসি ভোল্টেজ কন্ট্রোল করা যায়।

হোম মেইড অপ্টোকাপ্লারঃ

একটি এলইডি এবং একটি এলডিআর ব্যবহার করে আপনি ঘরে বসেই অপ্টোকাপ্লার বানাতে পারেন। এলইডি এবং এলডিআর মুখোমুখি প্লেস করতে হবে। এলইডিতে ভোল্টেজ দিলে লাইট নির্গত হয় যা গিয়ে এলডিআরের উপর পড়ে। এলডিআরের মাধ্যমে ট্রানজিস্টর বায়াসিং করে সুইচিং করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *