পিএলসি মেইনটেন্যান্স : পিএলসি সিস্টেম স্মুথলি রান করার স্টেপসমূহ

একটি পিএলসি (প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার) সিস্টেম মেইনটেইন করা ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোসেসগুলোর স্মুথ এবং রিলায়েবল অপারেশন এনসিওর করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিএলসি প্রোপারলি মেইনটেইন করা হলে অপ্রয়োজনীয় টেনশন করতে হয় না এবং আপনার ইউনিটগুলো থেকে ম্যাক্সিমাম লাইফটাইম পাওয়া যায়। আপনার পিএলসি সিস্টেমকে স্মুথলি চালানোর জন্য এখানে কিছু সহজ স্টেপ রয়েছে :

রেগুলার ইন্সপেকশন : পিএলসি সিস্টেম এবং এর অ্যাসোসিয়েটেড কম্পোনেন্টসগুলোর ভিজ্যুয়াল ইন্সপেকশন করতে হবে। যেমন – পাওয়ার সাপ্লাই, I/O মডিউল,ওয়্যারিং এবং টার্মিনাল কানেকশন। ড্যামেজেস, ল্যুস কানেকশন বা ওভার হিটিং হওয়ার লক্ষণগুলো খুঁজে বের করতে হবে।

ক্লিন এনভায়রনমেন্ট : এনসিওর করতে হবে যে পিএলসি সিস্টেমের আশেপাশের এরিয়া ক্লিন এবং ডাস্ট, ময়সচার ও এক্সেসিভ হিট থেকে মুক্ত। রেগুলারলি পিএলসি এনক্লোসার এবং কম্পোনেন্টগুলোকে কম্প্রেসড এয়ার বা একটি নরম ব্রাশ ব্যবহার করে ক্লিন করতে হবে যাতে এর পারফরম্যান্সে কোন প্রভাব না পড়ে।

ব্যাকআপ প্রোগ্রাম এবং ডেটা : হার্ডওয়্যার ফেইলিউর বা আনএক্সপেক্টেড ইভেন্টের ক্ষেত্রে ডেটা ল্যুস প্রিভেন্ট করতে রেগুলারলি পিএলসি প্রোগ্রাম এবং কনফিগারেশন সেটিংস ব্যাকআপ করতে হবে। একটি সিকিউর লোকেসনে ব্যাকআপ স্টোর করতে হবে এবং এনসিওর করতে হবে যে সেগুলো সহজেই রিকোভার করা পসিবল।

ফার্মওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার আপডেট : পিএলসি ম্যানুফ্যাকচারারদের দেওয়া ফার্মওয়্যার এবং সফ্টওয়্যার আপডেটের সাথে আপ-টু-ডেট থাকতে হবে। এই আপডেটগুলোতে বাগ ফিক্স, সিকিউরিটি প্যাচ এবং পারফরম্যান্স ইমপ্রুভমেন্ট ইনক্লুড থাকতে পারে যা পিএলসি সিস্টেমের রিলায়বিলিটি এবং ফাংশনালিটি বাড়াতে পারে।

মনিটর পারফরম্যান্স : সিস্টেমের পারফরম্যান্স ট্র্যাক করতে, আনইউজুয়াল বিহেভিয়ার ডিটেক্ট করতে এবং প্রবলেমগুলো বৃদ্ধির আগে ইস্যুগুলো সনাক্ত করতে পিএলসি সফ্টওয়্যার দ্বারা প্রোভাইডেড বিল্ট-ইন ডায়গনসস্টিক টুলস এবং মনিটরিং ফিচারগুলো ব্যবহার করতে হবে৷ রেগুলারলি CPU ইউজেস, মেমোরি ইউটিলাইজেসন, I/O স্ট্যাটাস এবং ইরর লগগুলো মনিটর করতে হবে।

টেস্ট সেইফটি সিস্টেম : যদি পিএলসি সিস্টেম সেইফটি ক্রিটিকাল ফাংশনের জন্য রেস্পনসিবল হয় তাহলে রেগুলারলি সেইফটি সিস্টেম, ইমারজেন্সি স্টপ সার্কিট এবং সেইফটি ইন্টারলকগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা এনসিওর করতে টেস্ট করতে হবে। সেইফটি মেজারগুলো এক্টিভেট করা হয়েছে কি না তা ভেরিফাই করতে সিমুলেটেড ইমারজেন্সি সিনারিও কন্ডাক্ট করতে হবে।

রিপ্লেসিং এজড কম্পোনেন্টস : ব্যাটারি, মেমোরি কার্ড এবং ব্যাকআপ ক্যাপাসিটারগুলোর মতো পিএলসি কম্পোনেন্টগুলোর সার্ভিস লাইফ এবং এক্সপেক্টেড লাইফস্প্যান ট্রাক করতে হবে৷ আনএক্সপেক্টেড ফেইলিউর এবং ডাউনটাইম প্রিভেন্ট করার জন্য এজড কম্পোনেন্টগুলোকে প্রোএক্টিভলি রিপ্লেস করতে হবে।

ট্রেইন ওয়ার্কার : মেইনটেন্যান্স কর্মীদের এবং অপারেটরদের পিএলসি মেইনটেন্যান্স প্রোসিডিউর, ট্রাবলশুটিং টেকনিক এবং সিস্টেম অপারেশনের জন্য বেস্ট প্র্যাকটিসের ট্রেইনিং প্রোভাইড করতে হবে। কর্মীরা সেইফটি প্রোটোকল এবং ইমারজেন্সি প্রোসিডিউর এর সাথে পরিচিত কি না তা এনসিওর করতে হবে।

ডকুমেন্ট চেঞ্জেস এবং মোডিফিকেসন : হার্ডওয়্যার রিপ্লেসমেন্ট, সফ্টওয়্যার আপডেট এবং প্রোগ্রাম রিভিসনসহ পিএলসি সিস্টেমে করা যেকোনো চেঞ্জেস, মোডিফিকেসন বা আপগ্রেডের ডিটেইল ডকুমেন্টেশন রাখতে হবে। ডকুমেন্টিং চেঞ্জেস সিস্টেমের ইন্টিগ্রিটি মেইনটেইন করতে সাহায্য করে এবং ট্রাবলশুটিং এর সুবিধা দেয়।

সিডিউল প্রিভেন্টিভ মেইনটেন্যান্স : ম্যানুফ্যাকচারারদের রিকমেন্ডেসন, ইউজেজ প্যাটার্ন এবং এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাক্টরের উপর বেস করে পিএলসি সিস্টেমের জন্য একটি প্রিভেন্টিভ মেইনটেন্যান্স সিডিউল এস্টাব্লিস করতে হবে।রেগুলারলি সিডিউলড মেইনটেন্যান্স টাস্কের মধ্যে ক্লিনিং, ইন্সপেকশন, টেস্টিং এবং কম্পোনেন্টগুলোর ক্যালিব্রেসন ইনক্লুড থাকতে পারে।

এই সিম্পল স্টেপগুলো ফলো করে এবং আপনার রুটিনে প্রিভেন্টিভ মেইনটেন্যান্স প্র্যাক্টিসগুলোকে ইনক্লুড করে, আপনি আপনার পিএলসি সিস্টেমের স্মুথ অপারেশন এবং লংজিভিটি এনসিওর করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *