জেনে নিন পিএলসি প্রোগ্রামিং স্কিল অর্জনের সেরা ৫ টেকনিক:
পিএলসি প্রোগ্রামিংয়ে এক্সপার্ট হওয়ার জন্য অটোমেশনের বেসিক কিছু বিষয় না জানলেই নয়। পিএলসি প্রোগ্রামিং নিয়ে অনলাইনে অসংখ্য টিউটোরিয়াল থাকা সত্ত্বেও আপনি কোথা থেকে স্টার্ট করবেন সে বিষয়ে আইডিয়া না থাকার কারণে শিখতে পারেন না। আপনি কোন ট্রেনিং সেন্টার থাকে একটি সার্টিফিকেট অর্জন করলেই একজন দক্ষ প্রোগ্রামার হতে পারবেন না।
প্রোগ্রামিং শেখার কিছু ধাপ আছে। নিজেকে একজন পিএলসি প্রোগ্রামার হিসেবে পরিচয় দিতে হলে এই ধাপগুলো অবশ্যই আপনাকে ফলো করতে হবে।
এই ব্লগের পুরোটা জুড়েই আলোচনা থাকছে পিএলসি প্রোগ্রামিং নিয়ে। যেখানে প্রসেস সিস্টেম ব্যবহৃত বিভিন্ন ইনপুট আউটপুট ডিভাইস যেমন- সুইচ, সেন্সর, একচুয়েটর, কন্ট্রোলার এগুলোর কি কাজ এবং কিভাবে পিএলসির সাথে ইন্টার্ফেস করতে হয় জানতে পারবেন।
এছাড়াও “জব ইন্টার্ভিউয়ে কি কি টাইপ প্রশ্ন আসতে পারে?” এই প্রশ্নের উত্তরটিও পেয়ে যাবেন ব্লগটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পর।
বাজারে অনেক ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের পিএলসি পাওয়া যায়। আপনি যদি একটি ব্র্যান্ডের কোন একটি মডেল ভালভাবে শিখতে পারেন তাহলে যেকোনো মডেলের পিএলসি নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন।
টেকনিক-০১
পিএলসির বিভিন্ন সিপিইউ এবং এর মডেলগুলোর কোনটির কি কাজ তা বুঝতে হবে। অটোমেশন সিস্টেমে বিভিন্ন জটিল সমস্যার উদ্ভব হয়। এই নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করার জন্য একেক সিপিইউ ডিজাইন করা হয়েছে। প্রসেস সিস্টেমের উপর ভিত্তি করে ঐ পার্টিকুলার সিপিইউ সিলেক্ট করা যায়।
পিএলসি জানার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বেসিক ইলেক্ট্রনিক্সের কনসেপ্ট ক্লিয়ার করতে হবে।
লজিক গেট সার্কিট কিভাবে কাজ করে তা অবশ্যই জানতে হবে।
টেকনিক-০২
পিএলসির ইনপুট আউটপুট টার্মিনাল ওয়্যারিং জানতে হবে। ইনপুট সোর্স এবং সিঙ্ক ওয়্যারিং দুইভাবেই করা যায়। ডিভাইস কি রকম আউটপুট দেয় সেটার উপর ভিত্তি করে সিঙ্ক বা সোর্স ওয়ারিং করতে হবে। সাপোজ, ইনপুট থেকে যদি ২৪ ভোল্ট পিএলসিতে যায় তাহলে সোর্স ওয়্যারিং করতে হবে। আবার আউটপুট ডিভাইস যদি গ্রাউন্ড পটেনশিয়ালের মাধ্যমে অন হয় তাহলে সিঙ্ক ওয়ারিং করতে হবে।
আমি যেসব ইনপুট আউটপুট টার্মিনাল ব্যবহার করবো ঐ টার্মিনালগুলো এড্রেসিং করতে হবে। ডিজিটাল, এ্যানালগ ইনপুট আউটপুট এ্যাড্রেসিং উভয়ই কিভাবে করতে হয় তা বুঝতে হবে।
টেকনিক-০৩
সফটওয়্যার এবং ড্রাইভার ইন্সটলেশন করার সময় কিছুটা সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম প্রতিনিয়ত চেইঞ্জ হয়, সেক্ষেত্রে সফটওয়্যার ফার্মওয়্যার আপডেট জরুরী। কিছু কিছু পেইড ভার্সন সফটওয়্যার ক্রয় করতে হয়। ল্যাপটপ এবং পিএলসির মধ্যে কমিউনিকেশন সেটআপ করা, প্রোগ্রাম আপলোড- ডাউনলোড করা এগুলো শিখে গেলে আপনি পিএলসি প্রোগ্রামিং শুরু করার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছেন।
টেকনিক-০৪
প্রোগ্রামিং শুরু করার পূর্বে বেসিক NO/NC কনসেপ্ট জানা গুরুত্বপূর্ণ। NO/NC কন্টাক্ট ব্যবহার করে ল্যাডার প্রোগ্রামিং লজিক সাজানো হয়। পিএলসির বিভিন্ন রকম কমান্ড আছে। এই কমান্ডগুলো ব্যবহার করে অনেক টাস্ক সম্পন্ন করা হয়। Timer, Counter, Set-Reset, Interrupt function সহ আরও অনেক রকম ইন্সট্রাকশন আছে।
এ্যারিথমেটিক অপারেশন যেমন- এডিশন, সাবট্রাকশন, মাল্টিপ্লিকেশন, ডিভিশন কিভাবে করতে হয় জানতে হবে। এগুলো প্রোগ্রামিং লজিক বিল্ড-আপ করতে সহায়তা করে।
টেকনিক-০৫
ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্নরকম সেন্সর যেমন- মেটাল, প্রএক্সিমিটি, ফটো, লেভেল, প্রেশার, টেম্পারেচার সেন্সর ব্যবহৃত হয়। সেন্সরগুলো পিএলসির সাথে কিভাবে ইন্টার্ফেস করতে হয় তা জানতে হবে। সেন্সরগুলো পিএইলসির ইনপুট টার্মিনালে কানেক্ট করা হয়।
সলিনয়েড, একচুয়ের, রিলে, মোটর পিএলসির মাধ্যমে কন্ট্রোল করা। এগুলো আউটপুট ডিভাইস।
অ্যানালগ ইনপুট আউটপুট প্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে অনেকেই প্রবলেম ফেইস করে। সাধারণত দুইরকম অ্যানালগ সিগন্যাল নিয়ে বেশি কাজ করা হয়- ০~১০ ভোল্ট এবং ৪~২০ মিলি এম্পিয়ার। এই সিগন্যালগুলো কিভাবে স্কেলিং করতে হয় জানতে হবে।
সর্বশেষ ট্রাবলশুটিংয়ে এক্সপার্ট হতে হবে। ফ্যাক্টরিতে অনেক সময় ফল্ট হয়। এই ফল্টের সোর্স আইডেন্টিফাই করা গুরুত্বপূর্ণ। প্রোডাকশন ইফিশিয়েন্সি বাড়াতে কোন কোন ক্ষেত্রে প্রোগ্রাম মোডিফাই করার দরকার লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রোগ্রাম ডাউনলোড করে এর বিভিন্ন প্যারামিটার পরিবর্তন করা লাগতে পারে।