একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল অটোমেশন প্রসেসে অনেক সময়েই বিভিন্ন ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তবে পিএলসি এর ট্রাবলশুটিং প্রসেসটি অনেক চ্যালেঞ্জিং। কিছু সিস্টেম্যাটিক অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে সহজেই এই সমস্যাগুলো খুঁজে বের করা এবং সেগুলোর সমাধান করা সম্ভব। নিচে আমরা কিছু কমন ট্রাবলশ্যুটিং ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো :
১। পাওয়ার সাপ্লাই ইস্যু : পিএলসি সঠিকভাবে পাওয়ার সাপ্লাই পাচ্ছে কি না সেটা নিশ্চিত করতে হবে। পিএলসিতে কোনো ল্যুস কানেকশন আছে কি না সেটা চেক করতে হবে এবং কোনো ফিউজ পুড়ে গেছে কি না সেটাও চেক করতে হবে। মাল্টিমিটার ব্যবহার করে পিএলসি এর ইনপুট টার্মিনালের ভোল্টেজ লেভেল মেজার করতে হবে।
২। প্রোগ্রাম লজিক রিভিউ : ইরর বা ম্যালফাংশনিং এর জন্য পিএলসি এর প্রোগ্রাম লজিক এক্সামাইন করতে হবে। এর জন্য পিএলসি ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি থেকে দেয়া সফটওয়্যারের মাধ্যমে পিএলসি এর ল্যাডার লজিক, ফাংশন ব্লক অথবা অন্যান্য প্রোগ্রামিং মেথড চেক করতে হবে।
৩। ইনপুট ও আউটপুট ভেরিফাই : ইনপুট ও আউটপুট ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত পিএলসি এর স্ট্যাটাস চেক করতে হবে। সিগন্যাল ভেরিফাই করতে পিএলসি এর দেয়া ডায়াগনস্টিক টুলস ব্যবহার করতে হবে। অন্যদিকে সেন্সর, একচুয়েটর এবং অন্যান্য ডিভাইসগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে।
৪। ওয়্যারিং ও কানেকশন ইন্সপেক্ট : তারের মধ্যে যেকোনো ধরণের ড্যামেজ অথবা ল্যুস কানেকশনের জন্য পুরো ওয়্যারিং ও কানেকশন ইন্সপেক্ট করতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে কানেক্টরগুলোকে পুনরায় বসাতে হবে এবং টার্মিনালগুলোকে টাইট কন্ডিশনে রাখতে হবে। রেফারেন্স হিসেবে পিএলসি ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি থেকে দেয়া ওয়্যারিং ডায়াগ্রাম ব্যবহার করতে হবে।
৫। মনিটর কমিউনিকেশন : যদি পিএলসি অন্যান্য ডিভাইস বা সিস্টেমের সাথে সঠিকভাবে কমিউনিকেট করে থাকে তাহলে ইরর ডিসরাপসনের জন্য এর কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ককে মনিটর করতে হবে। এর সাথে সাথে ক্যাবল, নেটওয়ার্ক কনফিগারেসন এবং সেটিং রিলেটেড কমিউনিকেশন চেক করতে হবে।
৬। মেমোরি ইউজেজ চেক : পিএলসিতে প্রোগ্রামটি রান করার জন্য পর্যাপ্ত মেমোরি আছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। মেমোরি ওভারফ্লো করছে কি না সেটাও চেক করতে হবে। প্রয়োজন হলে মেমোরি ইউজেজ কমাতে প্রোগ্রামটি অপটিমাইজ করতে হবে।
৭। ইরর লগ রিভিউ : অনেক পিএলসিই এর অপারেশনের সময় এটি যেসব ইরর বা ফল্ট এর সম্মুখীন হয় তার লগ রেখে দেয়। পরবর্তীতে একই ধরণের ইস্যু বা প্যাটার্ন সনাক্ত করতে ইরর লগ রিভিউ করা হয়। নির্দিষ্ট কিছু সমস্যা সমাধানের জন্য পিএলসি ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি থেকে দেয়া ইরর কোড ব্যবহার করা যায়।
৮। অনলাইন ডিবাগিং : যদি পিএলসি অনলাইন ডিবাগিং সাপোর্ট করে তাহলে রিয়েল টাইমে প্রোগ্রাম এক্সিকিউসন মনিটর করতে এই ফিচারটি ব্যবহার করা যায়।
৯। আপডেট ফার্মওয়্যার অ্যান্ড সফটওয়্যার : পিএলসি ফার্মওয়্যার এবং সফটওয়্যার আপ টু ডেট আছে কি না তা নিশ্চিত করতে হবে। পিএলসি ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানিগুলো প্রায়ই এর বাগগুলো সমাধান করতে, পারফরমেন্স ইমপ্রুভ করতে বা নতুন ফিচার যুক্ত করতে আপডেট প্রকাশ করে।
১০। ডকুমেন্টেশন এবং সাপোর্ট কনসাল্ট : পিএলসি ম্যানুফ্যাকচারার কোম্পানি দ্বারা প্রদত্ত পিএলসি ইউজার ম্যানুয়াল, ডকুমেন্টেশন এবং অনলাইন রিসোর্সগুলো পড়তে হবে। প্রয়োজনে সহায়তার জন্য টেকনিক্যাল সাপোর্ট টিমের সাথে কন্টাক্ট করতে হবে।
উপরে উল্লেখিত টিপসগুলো ফলো করে এবং একটি সিস্টেম্যাটিক অ্যাপ্রোচের মাধ্যমে পিএলসি এর কমন ইস্যুগুলো ইফেক্টিভলি ডায়াগনোসিস করা ও সেগুলো সমাধান করা যায়।