পিএলসি (PLC) প্রোগ্রামিং এবং এর অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম বুঝতে মেমোরি ম্যানেজমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্লগে আমরা S7-300 পিএলসির বিভিন্ন মেমোরি টাইপ এবং তাদের কাজ নিয়ে আলোচনা করব। পিএলসি মেমোরিঃ এই মেমোরিগুলো পিএলসির মেমোরি ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করবে। এখানে আমরা S7-300 পিএলসির মেমোরি নিয়ে আলোচনা করবো। মেমোরি সাধারণত চার রকম; ১। লোড মেমোরি ২। ওয়ার্কিং মেমোরি ৩। সিস্টেম মেমোরি ৪। রিটেন্টিভ মেমোরি ১। লোড মেমোরিঃ পিএলসিতে ডাউনলোড করা ডাটা লোড মেমোরিতে ষ্টোর হয়। আমরা যখন ল্যাপটপে প্রোগ্রাম লিখে সিপিইউতে ডাউনলোড করি তখন এর ডাটা লোড মেমোরিতে যায়। এই লোড মেমোরি ইন্টার্নাল অথবা এক্সটার্নাল হতে পারে। ইন্টার্নাল মেমোরিঃ পুরাতন S7 পিএলসিতে ইন্টার্নাল মেমোরি ছিল এবং এটি ছিল র্যাম টাইপ মেমোরি অর্থাৎ পাওয়ার লস হলে লোড মেমোরির ডাটা হারিয়ে যেত। সেজন্য লিথিয়াম ব্যাকআপ ব্যাটারি ব্যবহার করা হত যাতে পাওয়ার চলে গেলেও ডাটা লস না হয়। এক্সটার্নাল মেমোরিঃ পরবর্তীতে পিএলসির সিপিইউগুলোতে এক্সটার্নাল মেমোরি স্লট দেওয়া হয়; আর এর জন্য আলাদা মেমোরি কার্ড কিনতে হয়। এটিকে MMC কার্ড বলে যা সিপিইউয়ের উপরে স্লটে ইনসার্ট করতে হয়। MMC হচ্ছে মাইক্রো মেমোরি কার্ড যা হচ্ছে ফ্ল্যাশ EEPROM মেমোরি। পাওয়ার লস হলেও এর ডাটা হারিয়ে যায়না। এর জন্য আলাদা ব্যাকআপ ব্যাটারির দরকার পড়েনা। এই MMC সিপিইউ থেকে খুলে ফেললে এটি আর রান হয়না। কারণ লোড মেমোরির বদলে MMC মেমোরি ব্যবহার করা হয়। MMC না থাকায় প্রোগ্রাম কম্পাইল হয়না। ২। ওয়ার্কিং মেমোরিঃ পিএলসিতে অলরেডি ডাউনলোড করা ডাটা এখানে ষ্টোর হয়। অর্থাৎ পিএলসিতে ডাউনলোড দেওয়া ডাটা প্রথমে লোড মেমোরিতে যায়, তারপর তা ওয়ার্কিং মেমোরিতে ট্রান্সফার হয়। এটি কম্পিউটারের র্যামের মতো কাজ করে, যেভাবে কম্পিউটারে হার্ডডিস্ক থেকে ডাটা র্যামে যায়। পিএলসি যখন প্রোগ্রাম রান করে তখন লোড মেমোরি থেকে ডাটা ওয়ার্কিং মেমোরিতে ট্রান্সফার হয়। ৩। সিস্টেম মেমোরিঃ এড্রেসিং করার কাজে সিস্টেম মেমোরি ব্যবহার হয়। ইনপুট আউটপুট ফিক্সড এড্রেসিং করা হয় যে পয়েন্টে লাগানো হবে। প্রোগ্রামিংয়ের সময় প্রতিটি ইনপুট আউটপুটের ইউনিক এড্রেস বলে দেওয়া হয়। সাপোজ, ইনপুট এড্রেস I0.0 প্রোগ্রামে বলে দিলে তা পিএলসির সিস্টেম মেমোরিতে যায় এবং I0.0 ইনপুটকে একটিভেট করে। ৪। রিটেন্টিভ মেমোরিঃ রিটেন্টিভ মেমোরিতে ডাটা পার্মানেন্টলি ষ্টোর করা হয়। এই ইউনিট থেকে ডাটা হারিয়ে যায়না। পুরাতন S7 পিএলসির ক্ষেত্রে ইলেকট্রিক পাওয়ার এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ না থাকলেও এই রিটেন্টিভ মেমোরি এরিয়াতে ষ্টোর করা ডাটা থেকে যায়। S7-400 সিপিইউতে স্পেশাল পারপাসে রিটেন্টিভ মেমোরি ব্যবহার করা হয়।