সেমিকন্ডাক্টরঃ
মডার্ন টেকনোলজির রেভল্যুশন সেমিকন্ডাক্টরের মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। সকল একটিভ কম্পোনেন্ট, ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট, মাইক্রোচিপ, ট্রানজিস্টর এবং বিভিন্ন রকম সেন্সর সেমিকন্ডাক্টর দিয়ে তৈরি হয়। অবস্থার উপর ভিত্তি করে সেমিকন্ডাক্টর কখনও কন্ডাক্টর আবার কখনও ইনসুলেটর হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ কন্ডাক্টিভ ও নন-কন্ডাক্টিভের মাঝামাঝি অবস্থা প্রদর্শন করে।
- ইলেক্ট্রনিক্সে সিলিকন হল বহুল ব্যবহৃত সেমিকন্ডাক্টর মেটারিয়াল। তাছাড়াও জার্মেনিয়াম, গ্যালিয়াম আর্সেনাইড, সিলিকন কার্বাইডও সেমিকন্ডাক্টর হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রত্যেক মেটারিয়ালের কিছু সুবিধা আছে;
→পারফর্মেন্স ও খরচের অনুপাত
→হাই স্পীড অপারেশন
→হাই টেম্পারেচার টলারেন্স
→সিগন্যালের সাথে কিরকম রেসপন্স করে
সেমিকন্ডাক্টর খুবই উপযোগী কারণ ইঞ্জিনিয়ার ম্যানুফ্যাকচারিং প্রসেসে ইলেক্ট্রিক্যাল প্রোপার্টি এবং আচরণ কন্ট্রোল করতে পারে।
- সেমিকন্ডাক্টরের মধ্যে অল্প পরিমাণ ইমপিউরিটি যুক্ত করে এর প্রোপার্টি কন্ট্রোল করা যায়। একে ডোপিং বলে। বিভিন্ন রকম এবং বিভিন্ন পরিমাণে ইমপিউরিটি যুক্ত করে বিভিন্ন ইফেক্ট তৈরি করা যায়। অর্থাৎ ডোপিং কন্ট্রোল করে সেমিকন্ডাক্টরের মধ্য দিয়ে কারেন্টের মোভমেন্ট কন্ট্রোল করা যায়। এখানে অতিরিক্ত ইলেকট্রন থাকে অথবা ইলেকট্রনের ঘাটতি থাকে যা এর ইলেক্ট্রিক্যাল প্রোপার্টি চেইঞ্জ করে; কন্ডাক্টিভ হবে নাকি ইনসুলেটিং আচরণ করবে।
- সাধারণ কন্ডাক্টর যেমন কপারের ক্ষেত্রে, ইলেকট্রন কারেন্ট কেরি করে এবং চার্জ কেরিয়ার হিসেবে কাজ করে। কিন্তু সেমিকন্ডাক্টরেরে ক্ষেত্রে, ইলেকট্রন এবং হোল উভয়ই চার্জ কেরিয়ার হিসেবে কাজ করে। ডোপিংয়ের উপর নির্ভর করে আসলে ইলেকট্রন, নাকি হোল চার্জ কেরিয়ার হিসেবে কাজ করবে।
- যখন ইলেকট্রন অতিরিক্ত থাকবে তখন একে N-টাইপ মেটারিয়াল বলে।
- যখন ইলেকট্রনের শর্টেজ হয় তখন বলা হয় P-টাইপ মেটারিয়াল।
এই দুই মেটারিয়ালের কম্বিনেশনে বিভিন্ন কম্পোনেন্ট তৈরি করা যায়।