এসি মোটরের দুটি পার্ট থাকে; ষ্টেশনারী উইন্ডিং(স্টেটর) এবং রোটেটিং পার্ট(রোটর)।
স্টেটরের ভেতরে ওয়্যারের পেঁচানো কয়েল থাকে যা পরিবর্তনশীল ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করে। রোটরেরও ম্যাগনেটিক ফিল্ড থাকে যা স্টেটর ফিল্ডে আকর্ষণ ও বিকর্ষণ ঘটে। ম্যাগনেটের ক্ষেত্রে আমরা জানি একই রকম পোল বিকর্ষণ এবং সমধর্মী পোল আকর্ষণ করে। এই প্রিন্সিপাল ব্যবহার করে মোটরের ভেতরে ম্যাগনেটিক ফিল্ডের মাধ্যমে রোটরকে ঘুরানো হয়। রোটর শাফটের সাথে সংযুক্ত থাকে যা মোটরের বাইরে দিকে প্রসারিত। এই শাফটের ঘূর্ণন গতি এসি ড্রাইভ দ্বারা নিরূপণ করা হয়।
এসিংক্রোনাস মোটরঃ
এসি মোটর ইলেক্ট্রিক্যাল এনার্জিকে মেকানিক্যাল এনার্জিতে রূপান্তর করে। এসিংক্রোনাস মোটর ইন্ডাকশন প্রিন্সিপাল ব্যবহার করে। কন্ডাক্টর ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডে স্থাপন করা হয় যা এক ধরণের ফোর্স পায় এবং এটিকে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডের মধ্যে ঘুরানোর চেষ্টা করে। মোটরের স্পীড এতে লাগানো লোডের উপর নির্ভর করে। এসি ইন্ডাকশন মোটরের ক্ষেত্রে ম্যাগনেটিক ফিল্ড ষ্টেশনারী পার্টে থাকে(স্টেটর)। কন্ডাক্টর যা ম্যাগনেটিক ফোর্স পায় তা রোটরে থাকে।
স্টেটরে তিনটি উইন্ডিং থাকে(ফেজ) যা ১২০° ইলেক্ট্রিক্যাল ডিগ্রীতে পৃথক থাকে। যখন থ্রি-ফেজ অল্টারনেটিং কারেন্ট দেওয়া হয় তখন রোটরের কন্ডাক্টরে কারেন্ট ইন্ডিউজড হয়। স্টেটরে উৎপন্ন ম্যাগনেটিক ফিল্ড এবং রোটরের কন্ডাক্টরের মধ্যে কারেন্ট প্রবাহের ফলে রোটর স্টেটরের চতুর্দিকে ঘুরতে থাকে।
ইন্ডাকশনঃ
ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন হচ্ছে আসলে ভোল্টেজ প্রোডাকশন যখন কন্ডাক্টর ম্যাগনেটিক ফিল্ডের মধ্যে ঘুরে। জেনারেটর, ট্রান্সফর্মার, মোটর, সলিনয়েড এই প্রিন্সিপাল মেনে অপারেট হয়।
সিংক্রোনাস মোটরঃ
সিংক্রোনাস এসি মোটরের রোটরে স্থায়ী চুম্বক থাকে যা ব্রাশলেস ডিসি মোটরের মতো। স্টেটরে থ্রি-ফেজ উইন্ডিং থাকে। স্টেটরে যখন থ্রি-ফেজ অল্টারনেটিং কারেন্ট দেওয়া হয় তখন সিংক্রোনাইজিং রোটেটিং ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স তৈরি হয় যা রোটরকে এর সাথে সিংক্রোনাসভাবে ঘুরায়। রোটরের স্পীড এখানে ফ্রিকুয়েন্সি দ্বারা নিরূপণ করা হয়। স্টেটর উইন্ডিংয়ে যেহেতু সিনুসয়ডাল এক্সাইটেশন দেওয়া হয় তাই এর ফলস্বরূপ মোটরের মাধ্যমে টর্ক পাওয়া যায় এবং তা অনেক স্মোথ।
সাইনওয়েভ বা সিনুসয়েড হচ্ছে ম্যাথম্যাটিক্যাল ফাংশন যা স্মোথ রিপিটিভ অসিলেশন বর্ণনা করে।