ডিসি vs এসিঃ
এসি এবং ডিসি উভয় পাওয়ারই ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়।
- এসি হচ্ছে একটিভ পাওয়ার যা ডিভাইসকে ড্রাইভ করার কাজে ব্যবহৃত হয়।
- ডিসি পাওয়ার কন্ট্রোলিংয়ের কাজে ব্যবহার হয়।
- সুইচবোর্ড এবং ইলেক্ট্রিক্যাল আউটলেটে এসি পাওয়ার কানেক্ট করা হয় ড্রাইভ করার জন্য।
- পাওয়ার সাপ্লাই এবং ব্যাটারি থেকে ডিসি পাওয়ার পাওয়া যায় যা সাধারণত ইন্ডাস্ট্রিতে কন্ট্রোলিং করার জন্য ব্যবহার হয়।
এসি পাওয়ার সাপ্লাইঃ
এসি পাওয়ার সাপ্লাই সাধারণত ড্রাইভিং পাওয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দুই রকম; ১-ফেজ এবং ৩-ফেজ।
- সিঙ্গেল ফেজ এসি পাওয়ার দুই তারের মাধ্যমে ট্রান্সমিট করা হয় যা সাধারণত বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত হয়।
- থ্রি ফেজ এসি পাওয়ার তিন তারের মাধ্যমে ট্রান্সমিট করা হয় যা ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যবহৃত হয়।
- থ্রি ফেজ এসি পাওয়ার ইকনোমিক্যাল।
- থ্রি ফেজ এসি পাওয়ার ব্যবহার করে ইন্ডাস্ট্রিতে বড় বড় মোটর চালানো হয়।
পাওয়ার ট্রান্সপোর্টেশনঃ
পাওয়ার স্টেশন থেকে ইন্ডাস্ট্রি এবং বাসাবাড়িতে ৩-ফেজ এসি আকারে পাওয়ার আসে। উৎপন্ন হাই ভোল্টেজ এসি পাওয়ার বিভিন্ন ধাপে সাব-স্টেশনে ক্রমাগত কমে আসে।
বড় বড় প্ল্যান্টে সাধারণত ২২০০০ ভোল্ট, মাঝারি প্ল্যান্টে ৬৬০০ ভোল্ট এবং ছোট প্ল্যান্ট ও বাসাবাড়িতে ২২০~৪০০ ভোল্ট সাপ্লাই দেওয়া হয়। এই ভোল্টেজ রেগুলেশন দেশ এবং এলাকাভেদে ভিন্ন হয়।
এসি পাওয়ার কেন হাই ভোল্টেজ আকারে ট্রান্সমিট করা হয়?
- তারের খরচ কমানোর জন্য। যদি লো ভোল্টেজে ট্রান্সমিট করা হয় তাহলে কারেন্ট প্রবাহ অনেক বেশি হয় যা মোটা কন্ডাক্টর ডিমান্ড করে।
- পাওয়ার লস কমে যায়। ইলেক্ট্রিসিটি যখন প্রবাহিত হয় তখন ওয়্যারের রেজিসটেন্সের কারণে হিট উৎপন্ন হয়। ওয়্যার মোটা হলে বেশি হিট উৎপন্ন হয় যা পাওয়ার লসের বড় কারণ।
ডিসি কন্ট্রোল পাওয়ারঃ
- এসি পাওয়ার মেশিনকে ড্রাইভ করার কাজে আর ডিসি পাওয়ার মেশিনকে কন্ট্রোলিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়।
- ডিসি পাওয়ার সাধারণত লো ভোল্টেজ হয় যেমন- ২৪ ভোল্ট, ১২ ভোল্ট।
- বিভিন্ন রকম সেন্সর যেমন ফটোসেন্সর, প্রক্সিমিটি সেন্সর, মেটাল সেন্সর এগুলো ডিসি পাওয়ার ব্যবহার করে কন্ট্রোল ডিভাইসে ইনফর্মেশন ট্রান্সফার করে।
- ডিজিটাল সিস্টেম ডিসি পাওয়ারের উপর প্রতিষ্ঠিত। যখন সুইচ অফ থাকে তখন ০ ভোল্ট এবং যখন সুইচ প্রেস করা হয় তখন ২৪ ভোল্ট পাওয়া যায়।